الثلاثاء، 7 مارس 2017

●|● অপরকে মন্দ নামে ডাকবেন না ●|●


●|● অপরকে মন্দ নামে ডাকবেন না ●|●
একে অপরকে মন্দ নামে ডাকবেন না। একে অন্যকে কোন মন্দ নাম দিবেন না। এই মটু! কেমন আছো? হেই চেপটা মুখো! অথবা যে নামেই ডাকেন না কেন?আপনি হয়তো বলবেন, '' না না… সে কিছু মনে করে নি। আমরা ঠিক আছি। সে একদমই কিছু মনে করে না। তুমি কিছু মনে করোনি, তাই না?'' তারপর সে বললো,'' হ্যাঁ অবশ্যই কোন সমস্যা নেই।'' কিন্তু আসলে সে ঠিক নেই। সে আসলে মনে মনে কষ্ট পেয়েছে । একদল মেয়ে একসাথে গল্প করছে। ''এই তুমি অনেক খাটো, আর এটা খুবই কিউট।'' নিশ্চই মেয়েটির আপনার তাকে খাটো বলাটা পছন্দ হয়নি, যদিও আপনি তাকে এর জন্য আকর্ষণীয় বলেছেন।
যদিও সে এখন হয়তো কিছু বলেনি…আপনার বন্ধুও হয়তো এখন কিছু বলছে না... কিন্তু এমন একটি দিন আসবে... শেষ বিচারের দিন... যেদিন সবাই ভালো কাজের জন্য মরিয়া হয়ে উঠবে। এবং আপনি যদি তাদের সাথে কোন অপরাধ করে থাকেন, তাহলে তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে তারা আপনার ভালো কাজগুলো নিয়ে নিতে পারবে। তারা হয়তো এখন সংগ্রহ করবে না, কিন্তু শেষ বিচারের দিন ঠিকই সংগ্রহ করবে।
খেয়াল করুন। বিশেষ করে বন্ধুমহলে, একে অপরকে অবজ্ঞামূলক নামে ডাকবেন না। যদিও সেই নামের অর্থ নোংরা না হয়, যদি তারা সে নাম পছন্দ না করে, তবে সেই নামে তাদের ডাকবেন না । আমি অনেক ভ্রমন করি। একবার একজনের সাথে দেখা হয়, যার পারস্পরিক সম্পর্কের সীমারেখার ব্যাপারে যথেষ্ট সম্মান ছিল না। লোকটির সাথে আমার একদমই পরিচয় ছিল না। ''হেই নমি, কেমন আছো?'' আমি বললাম, ''দুঃখিত!'' তিনি বললেন, ''আমি তোমাকে নমি বলে ডাকতে পারি, তাই না?'' আমি বললাম, ''জ্বি না। আমার মা আমাকে নু'মান বলে ডাকেন। আমি আশা করি আপনিও আমাকে নু'মান বলে ডাকবেন! যদি কেউ আমাকে তাদের ইচ্ছা মত ডাকতে চান, তাহলে শুধু আমার বাবা মা পারেন তা করতে এবং আপনি পারেন না।'' আমি বলিনি, ঠিক আছে। আমি এটা পছন্দ করি না। যদি এটা আমার পছন্দ না হয়, আমার উচিত তাকে এখনই বলা, তা না হলে হয়তো আমাকে শেষ বিচারের দিন বলতে হবে। এখনি ঠিক করুন। যদি কেউ আপনাকে মন্দ নাম ধরে ডাকে, তাকে এক্ষুণি শুধরে দিন। যদি আপনি কাউকে মন্দ নামে ডাকেন, তাহলে এখনই তা বন্ধ করুন। ''একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না''। সূরা হুজুরাত ১১।
আর উপসংহার হচ্ছে بِئْسَ الِاسْمُ الْفُسُوقُ بَعْدَ الْإِيمَانِ যে ঈমান আনার পরও বিকৃত শব্দ ব্যবহার করা তা কতই না ভয়াবহ! আল হুজুরাত। "ইস্মুল ফুসুক "এর অর্থ কি? কারো প্রতি অবমাননাকর একটি শব্দ উচ্চারন করাও একজন ঈমানদার ব্যক্তির জন্য খুবই ভয়াবহ। অন্যভাবে বলা যেতে পারে, একজনের মুখে অপবিত্র শব্দ ও হৃদয়ে বিশ্বাস কখনো একসাথে থাকতে পারে না। আপনার হৃদয়ে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, যা সৌন্দর্যমণ্ডিত করা হয়েছে (وَزَيَّنَهُ فِي قُلُوبِكُمْ) সেটা এবং মুখে কলুষিত শব্দ একসাথে থাকতে পারে না। যদি সেই চার অক্ষরের অপবিত্র শব্দ ব্যবহারে আপনার নিয়ন্ত্রণ না থাকে, তাহলে এটি আপনার কোন সাধারণ সমস্যা নয়, এটি আপনার একটি ধর্মীয় ও নৈতিক সমস্যা। সেই একই আয়াত থেকে অন্যভাবে বলা যেতে পারে, কীভাবে আপনি একজন ঈমানদার ব্যক্তির প্রতি কোন বাজে শব্দ ব্যবহার করতে পারেন! যার ঈমান আছে তার জন্য কোন অপবিত্র শব্দ আপনি ব্যবহার করতে পারেন না। অপবিত্র শব্দ কোন মুসলিমের জন্যই নয়। যে সকল মানুষ এগুলো ছাড়তে পারে না, যারা অনুশোচনা করে না, তারাই প্রকৃত খারাপ কাজ করে। তারাই ভুল পথের অনুসারী।
-- উস্তাদ নুমান আলী খান।

ليست هناك تعليقات:

إرسال تعليق