الجمعة، 17 يناير 2025
Think, Clouds & Rain ..... Life & Death ...... Night & Day ...Does man control them ?
Think, Clouds & Rain ..... Life & Death ...... Night & Day ...Does man control them ?
Most surely in the creation of the heavens and the earth and the alternation of the night and the day,
and the ships that run in the sea with that which profits men, and the water that Allah sends down from the cloud,
there are signs for a people who understand.
(Hoy Quran 2:164)
"জ্বীনরা যেভাবে মানুষের সুরত ধরে- একটি বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ"
"জ্বীনরা যেভাবে মানুষের সুরত ধরে- একটি বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ"
-- বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসী
জ্বীন বা ফেরেশতা যেকোনো মানুষের সুরত ধরে পৃথিবীতে দৃশ্যমান হতে পারে। এই যে দৃশ্যমান থেকে অদৃশ্য হওয়ার বিষয়টা আমাদের আশেপাশের প্রকৃতিতেও ঘটে। যেমন পানি কিন্তু খালি চোখে দেখা যায়, এতে তাপ দিলে বাষ্প হয়ে আকাশের বায়ুমন্ডলে অদৃশ্য হয়ে উঠে যায়। দৃশ্যমান শক্ত বরফ তাপ পেয়ে তরল পানি বা জলীয় বাষ্প হয়। আবার আমাদের সামনে বিদ্যমান দৃশ্যমান পদার্থ পরিনত হয় অদৃশ্য শক্তিতে যেমন বোম ফেটে অদৃশ্য শব্দ শক্তিতে পরিণত হয়। আবার প্রকৃতিতে অদৃশ্য থেকে দৃশ্যমান হওয়ার ঘটনাও ঘটে। যেমন: অদৃশ্য গ্যাস দৃশ্যমান তরলে, অদৃশ্য জলীয় বাষ্প দৃশ্যমান কুয়াশার আকারে ঝরে পড়ে, অদৃশ্য শক্তি বস্তু আকারে, প্রকৃতিতে এভাবে অহরহ উদাহরণ আছে। আবার মানুষের মনের অদৃশ্য ভাব-চিন্তা কাগজে বাস্তব শব্দ, বাক্যে দৃশ্যমান হয়ে দেখা দেয়।
একইভাবে অদৃশ্য সত্ত্বা যেমন জীন,ফেরেশতা, অন্যান্য দৃশ্যমান আত্মা জাতীয় সত্ত্বা বা বাতাস বা অন্যান্য কিছুর আকার ধারণ করে পৃথিবীতে দৃশ্যমান হয়।
ইমাম শিবলী বলেন, আল্লাহর ইচ্ছায় জ্বীন বা ফেরেশতারা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করতে করতে যেকোনো সুরত ধারণ করতে পারে। আল্লাহর নাম উচ্চারণ করাটাকে আমরা ‘ভিসা’ বা ‘চাবি’র সাথে তুলনা করতে পারি। কারণ ভিসা ছাড়া আপনি একদেশ থেকে অন্য দেশে আসতে পারবেন না। তেমনিভাবে জ্বীন বা ফেরেশতারা আল্লাহর যেকোনো গুণবাচক নাম উচ্চারণ করতে করতে অদৃশ্য জগত থেকে দৃশ্যমান জগতে আসতে পারে। আল্লাহর নাম নেওয়ার উপর নির্ভর না করা ছাড়া যদি তারা নিজের ক্ষমতার উপর নির্ভর করে অদৃশ্য থেকে দৃশ্যমান হতে যায়, তখন তারা ছিন্নভিন্ন, ও ধ্বংস হয়ে যাবে [ যেমন কেউ যদি স্পেস সুট ছাড়া স্বাভাবিক পোশাকে চাঁদে যায়,তাহলে মহাকর্ষীয় টানে শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে-অনুবাদক]
আমরা কুরআনের সুরা মরিয়মের(১৯) আয়াত (১৭) পড়েছি যে,আল্লাহ স্বর্গীয় এক আত্মাকে ঈসা আঃ এর মাতা মরিয়মের কাছে পাঠিয়েছিলেন। আলেমরা বলেন, জিবরাঈল মরিয়মের কাছে পুরুষের বেশ ধরে এসেছিল। আবার রাসুল সা: কাছে জিবরাঈল খুবই কমই নিজস্ব আকৃতিতে দেখা দিয়েছিল। অধিকাংশ সময় যোদ্ধা,ভ্রমণকারী পথিক, অথবা সাহাবিদের বেশ ধরে আসত। উদাহরণস্বরূপ, জিবরাঈল খন্দকের যুদ্ধে ঘোড়ার পিঠে যোদ্ধা বেশে রাসুলকে এসে বললেন, হে মুহাম্মদ সা: আপনারা যুদ্ধবর্ম,বস্ত্র খুলে ফেলেছেন, অথচ আমরা ফেরেশতারা এখনো খুলিনি,আল্লাহ আপনাকে বনু কুরায়জার দিকে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন। একবার জিবরাইল রাসুলের সাহাবিদের নসিহত করার উদ্দেশ্য ভ্রমণকারী পোশাকে পথিকের সুরত ধরে এসে রাসুলকে জিজ্ঞেস করলেন, ইমান কী? ইসলাম কী?ইহসান কী?কখন কেয়ামত হবে?
একইভাবে ফেরেশতা, জ্বীনদের মতো শয়তানও ( জ্বীন জাতি) বিভিন্ন সুরত ধরতে পারে। শয়তানের ব্যাপারে বর্ণনা আছে যে, বদর যুদ্ধের পূর্বে শয়তান নজদ অঞ্চলের এক অপরিচিত বৃদ্ধের সুরত ধরে কুরাইশ নেতাদের কাছে এসেছিলেন এবং পরামর্শ দিয়েছিলেন। একইভাবে বর্ণনা আছে যে, একবার এক সাহাবী রাতে গণিমতের মাল পাহারায় ছিল। তো জ্বীন শয়তান চোরের ছদ্মবেশে এসব মালামাল চুরি করতে আসে( যাতে অন্যান্য সাহাবীরা পাহারাদার সাহাবীকে চোর হিসেবে সন্দেহ করে)। পাহারাদার সাহাবীর তাকে হাতেনাতে ধরে ফেললে শয়তান কাকুতিমিনতি শুরু করলে সাহাবী তাকে ছেড়ে দেয়। এ আরো পরপর দুইবার শয়তান একই কাজ করতে আসলে ধরা খেয়ে যায়, আবার মিনতি করে ছাড় পেয়ে যায়। অবশেষে সাহাবী শেষবার শয়তানকে ধরে রাসুলের কাছে নিতে চাইলো। তখন শয়তান বলল, তুমি যদি আমাকে ছেড়ে দাও, এমনকিছু শিখিয়ে দিব, যা পড়লে জ্বীন থেকে সুরক্ষা পাবে। তখন সাহাবী বলল,আচ্ছা বল, ছেড়ে দিব। তখন শয়তান বলল, আয়তুল কুরসি পড়লে জ্বীন শয়তান থেকে সুরক্ষা পাবে। তখন এ ঘটনাটি রাসুলকে জানালে তিনি বলেন, শয়তান হলো দুষ্ট, মিথ্যাবাদী, তবে সে সময় আয়তুল কুরসির ব্যাপারে যা বলল, তা সত্যি।
একদল জ্বীন রাসুলের কুরআন তেলওয়াত শুনেছিলেন এ সম্পর্কে কুরআনে উল্লেখ আছে। তারা তাদের সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে গিয়েছিল, তখন বলেছিল: “হে জ্বীন সকল! নিশ্চয়ই আমরা এমন একটি কিতাবের তেলওয়াত শুনেছি, যা মূসার পরে অবতীর্ণ হয়েছে, যা তার পূর্ববর্তী সকল আসমানী কিতাবের সত্যায়িত করে এবং সঠিক ও সরল পথের নির্দেশনা দেয়” (46:30)
এভাবে এ সুরাটিতে জ্বীনরা কুরআন শুনে কি চিন্তা করতেছিল তার বর্ণনা আছে। হাদিস সমূহে এমনও বলা আছে যে, রাসুল সা: জ্বীনদের নিকট কুরআন কিছু অংশ তেলওয়াত করেছিলেন এবং ইসলামের বাণী প্রচার করেছিলেন।
জ্বীনরা অন্যান্য প্রাণীর যেমন, বিড়াল,বিচ্ছু ,পাখি,বানর,সাপ ইত্যাদির সুরত ধরে প্রকাশ্যে আসতে পারে। রাসুল সাঃ যখন বাতিন আন নাখলা উপত্যকায় জ্বীনদের নিকট থেকে অনুগত্যের বাইয়াত নিচ্ছেলেন,তখন তিনি পাশাপাশি জ্বীনরা যেন কোন ক্ষতিকর প্রাণী যেমন কুকুর, বিচ্ছুর সুরতে না ধরে জ্বীনদের আসল রুপ অথবা শোভনীয় কোন সুরত ধরে প্রকাশ্যে আসার একটা শপথ নিতে চাইছিলেন। এইজন্য রসুল সা: তার উম্মদের সতর্ক করে বলেছিলেন, বাড়িতে কোন ক্ষতিকর প্রাণী প্রথমে দেখলেই তিনবার বলতে বললেন, “আল্লাহর দোহাই, তুমি জ্বীন হলে এ জায়গা ছেড়ে চলে যাও”। যদি প্রাণীটা জায়গায় থেকে না সরে যায়,তাহলে বুঝতে হবে এটা জ্বীন নয়, তখন এটা মারতে পার।
যে জ্বীনরা রাসুলকে বাইয়াত দিয়েছিল তারা রাসুলের সাথে এ বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলো যে, আপনারা উম্মতরা যদি কোন কাজ করা অথবা খাবার ঢাকার আগে “বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম” বলে তখন আমরা তাদের খাবার অথবা পানীয় স্পর্শ করব না। অন্য বর্ণনায় রাসুল বলেছেন, তোমরা হাড্ডি অথবা শুকনো গোবর দিয়ে ঢিলা-কুলুপ করবে না, কারণ এসব তোমাদের জ্বীন ভাইদের খাবার”
অনুবাদক- নাজিম মোহাম্মদ
عرض الترجمة
كل التفاعلات:
١١أنت و١٠ أشخاص آخرينلا تبطلوا أعمالكم
لا تبطلوا أعمالكم
إن مما يغفُل عنه الناس اليوم أن يغيب عنهم ميزان الحق والعدل في أقوالهم وألفاظهم، فيحكمون على أناس من أهل الفضل والصلاح بكلمة لا يُلقُون لها بالًا؛ ابتغاء رضوان من هذا أو من ذاك.
رابط المادة: http://iswy.co/e2groc
كل التفاعلات:
٤أنت و٣ أشخاص آخرين
الاشتراك في:
الرسائل (Atom)