الأحد، 15 أبريل 2018

তাওয়াক্কুল, তাকওয়া ও ইস্তিগফারে আল্লাহর রিজিক আসে।

تمت مشاركة ‏منشور‏ ‏‎Islamic Scholars In Bangla‎‏ بواسطة ‏‎Nouman Ali Khan Collection In Bangla‎‏.
তাওয়াক্কুল, তাকওয়া ও ইস্তিগফারে আল্লাহর রিজিক আসে।
আল্লাহর উপর ভরসা করে যাওয়া, আল্লাহর ভয়ে পাপ থেকে বিরত থাকা, পাপ করলে আল্লাহর পথে ফিরে এসে ক্ষমাপ্রার্থনা করা - এগুলো রিজিকের দরজা খুলে দেয়।
আমাদের পাপের কারণে রিজিক নষ্ট হয়, রিজিক থেকে আমরা বঞ্চিত হই - সেটা হোক রহমতের মতো বৃষ্টি, শষ্যের মতো সম্পদ বা সন্তানের মতো কোনো রিজিক।
আমরা রিজিকের আশা রাখি আল্লাহর অবাধ্যতা করে, ক্রমাগত পাপ করে। ইস্তিগফার করা, আল্লাহর কাছে পাপ থেকে বিরত থেকে কৃত পাপের জন্যে ক্ষমাপ্রার্থনা করা রিজিকের প্রশস্ততার জন্যে দরকার।
অনেকের সন্তান হয় না - হয় পাপের কারণে বা পরীক্ষার কারণে। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছে: আল্লাহ প্রতিটি রোগের সাথে এর নিরাময়ও দিয়েছে (মৃত্যু ব্যতীত)।
ইস্তিগফার করতে থাকুন, পাপ থেকে বিরত হোন, আশাহত হবেন না, দোয়া কখনও বিফলে যায় না - দুনিয়াতে এখন বা পরে আরো উত্তম কিছু দিয়ে অথবা আখিরাতে আরো উত্তম কিছু দিয়ে পূর্ণ করবেনই - নিশ্চয়তা আছেই।
Islamic Scholars In Bangla
বিখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ ও জনপ্রিয় ধর্মতত্ত্ববিদ ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর বৃদ্ধাবস্থায় একবার ভ্রমণ করা সময়ের ঘটনা। রাত বেশি হওয়ার কারণে তিনি এক শহরে রাত্রি যাপনের উদ্দেশ্যে যাত্রাবিরতি করলেন। মসজিদে এশার সালাত আদায়ের পর সেখানেই তিনি রাতে থাকবেন বলে মনস্থির করলেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী। সেজন্য তিনি মসজিদে নিজের পরিচয় গোপন রেখেছিলেন এই ভেবে যে অনেক মানুষ তাঁকে ঘিরে ধরবে।
মসজিদের খাদেম তাঁকে চিনতে পারে নি বিধায় তাঁকে সেখানে থাকতে দিলো না। মসজিদ সংলগ্ন একটি রুটির দোকান ছিলো। রুটি তৈরিকারক তাদের দুইজনের আলাপ শুনছিল। সে ইমাম আহমদকে তার বাসায় রাতে থাকার জন্য নিয়ে আমন্ত্রণ জানালেন এবং সাথে নিয়ে আসলেন।
ইমাম আহমদ (রাহিমাহুল্লাহ) রুটি তৈরির প্রতিটি ধাপ দেখতে লাগলেন। আটার মন্ড তৈরি, খামির করা, রুটিবেলা, সেঁকা ইত্যাদি। সারা রাত রুটির কারিগর রুটি বানাচ্ছিল আর ক্রমাগত ইস্তিগফার করছিল (আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা)।
সকালে তিনি রুটিওয়ালার কাছে জানতে চাইলেন সারা রাত সে কেন ইস্তিগফার করছিল? জবাবে সে জানালো এটি তার এমন এক স্বভাব যা এখন পুরোপুরি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রাহিমাহুল্লাহ) আরো জানতে চাইলেন যে এর ফলে কি সে কোন পুরস্কার পেয়েছে? সে বললো, " আল্লাহর কসম! আমি কোন কিছু চাইনি একটি চাওয়া ছাড়া।" তখন তিনি বললেন কি সেটা?
রুটিওয়ালা জানালো, "বিখ্যাত চিন্তাবিদ ইমাম আহমদ ইবন হাম্বলকে আমি যেন দেখতে পাই।"
এই কথা শুনে ইমামের চোখে আনন্দের অশ্রু চলে এলো এবং আবেগে তিনি তাকে জড়িয়ে ধরলেন।
এইবার তিনি নিজের পরিচয় দিলেন, "আমি ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল। এই কথা শুনে এখন আমার মনে হচ্ছে মহান আল্লাহ তাআলা বুঝি আমাকে পাঠিয়েছেন তোমার মনোবাসনা যেন পূর্ণ হয়।"
এই ঘটনাটি জানার পর আমরা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে বারবার মহান আল্লাহ সুবহানহু তালার দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা কতটা ফজলিতপূর্ণ।
তাফসীর আল-কুরতুবী থেকে বর্ণিত: জনৈক ব্যক্তি আল হাসান আল বাসরীর কাছে এসে অভিযোগ করলেন যে তার এলাকাজুড়ে দীর্ঘদিন ধরে অনাবৃষ্টি হচ্ছে। তারা এখন কি করবে? তিনি বেশি বেশি ইস্তিগফার করতে বললেন।
আরেকজন হাসান আল-বাসরির কাছে এসে অভিযোগ করলো যে সে চরম দরিদ্র। সে কি করবে? তিনি বললেন, ইস্তিগফার কর।
আরো একজন বললো সে নি:সন্তান। তার হয়ে আল্লাহর কাছে তিনি যেন একটু দুয়া করেন। তিনি বললেন তুমি নিজে ইস্তিগফার কর।
আরেক ব্যক্তি জানালো তার বাগান অতি শুষ্ক। তিনি বললেন, ইস্তিগফার কর।
একদা তার কাছে জানতে চাওয়া হলো সব কিছুতেই তিনি ইস্তিগফার করতে বলেন কেন? জবাবে তিনি বললেন এটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত না, আল্লাহ কুরআনে এই তিনটির জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলেছেন, তাহলে তিনি এই তিনটির সমাধান করে দিবেন।
মহান আল্লাহতাআলা পবিত্র কুরআনে সুরা নূহ-তে
বলেনঃ
"অতঃপর বলেছিঃ তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। (১০)
(তাহলে) তিনি তোমাদের উপর অজস্র বৃষ্টিধারা ছেড়ে দিবেন, (১১)
তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্যে উদ্যান স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদীনালা প্রবাহিত করবেন। (১২)
তাফসীর আল-কুরতুবী
(১৮/৩০১-৩০২)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
إن الرجل ليحرم الرزق بالذنب يصيبه.
বান্দা তার কৃত পাপের কারণে রিযক থেকে বঞ্চিত হয়। (মুসনাদে আহমাদ)
_________________________________
অনুবাদঃ সারাহ ইসলাম
সম্পাদনাঃ ISB TEAM
__________________

ليست هناك تعليقات:

إرسال تعليق