পুরুষদের সম্পর্কে সাতটি বিষয় যা নারীদের অবশ্যই বুঝা উচিৎ [পর্ব-৬]
.
সৌন্দর্য হচ্ছে সুন্দরী হওয়ার প্রচেষ্টা !
এটা দ্বারা আমি কি বুঝাতে চাচ্ছি? দেখুন, আমি এখানেও খুব খোলামেলা কথাই বলবো। বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরে স্ত্রী কতো আবেদনময়ী সেটা নিয়ে স্বামীরা থোড়াই কেয়ার করে। কিন্তু তারা এটা ঠিকই কেয়ার করে যে, তাঁর স্ত্রী নিজের সৌন্দর্যের ব্যাপারে কতটা সচেতন এবং যত্নবান।
.
সে (দেখতে চায়) স্ত্রী সুগন্ধি ব্যবহার করছে, মেকআপ নিচ্ছে, সে নিজেকে সুন্দর ও পরিপাটি রাখতে চেষ্টা করছে। পুরুষের চোখে এই প্রচেষ্টাই হচ্ছে নারীর সৌন্দর্য। স্বামীরা তাঁদের স্ত্রীদেরকে সুপার মডেলদের সাথে কখনই তুলনা করে না। (সাধারণত) তারা নিজ নিজ স্ত্রীর ব্যাপারে সন্তুষ্ট থাকে। কিন্তু যখন কোনও নারী তাঁর নিজের সৌন্দর্যের ব্যাপারে যত্নবান হয় না তখন এটা তাদেরকে খুব বাজে ভাবে প্রভাবিত করে।
.
প্রিয় বোনেরা, আমি খুব সোজাসুজি বলছি- স্বামীদের কাছ থেকে সবচেয়ে বড় যে অভিযোগ গুলো আমি পাই তাঁর মধ্যে অন্যতম হল- স্ত্রীরা তাঁদের বোনদের অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে, পার্টিতে যাওয়ার আগে, বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নিয়ে সাজগোছ করে। কিন্তু তারা তাঁদের স্বামী ঘরে ফেরার আগে নিজের সৌন্দর্যকে উপস্থাপন করার জন্য পাঁচ মিনিট সময়ও ব্যয় করে না। আর এটাই মেজর অভিযোগ গুলোর মধ্যে অন্যতম যে- তারা স্বামীর সামনে নিজেকে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করতে বাড়তি কোনও সময়ই ব্যয় করে না।
.
প্রিয় বোনেরা! গোটা জগতে যদি আপনার সৌন্দর্যের এক ভাগও অন্য কারও দেখার অধিকার থেকে থাকে তাহলে সেটা আপনার কোনও বান্ধবী নয় কিংবা বিয়ের অনুষ্ঠানে আসা আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবরাও নয়- সে হচ্ছে শুধুই আপনার স্বামী।
.
সুতরাং তাঁর জন্য সুন্দর করে নিজেকে সাজানোর সময় যদি আপনার না থাকে তাহলে কেন আপনি অন্যদের জন্য এত সময় ব্যয় করে সাজগোছ করছেন?
অধিকাংশ নারীরাই স্বামীর সামনে নিজের সৌন্দর্য প্রকাশ করার গুরুত্ব অনুধাবনে ব্যর্থ। তারা আসলে বিশ্বাস করে যে- তাদেরকে সুপার মডেলদের সাথে টেক্কা দিয়ে সুন্দরী হতে হবে। হ্যাঁ এটা সত্য এবং এটা আমি আগেই বলেছি যে, ছেলেদের মধ্যে বাইরের মেয়েদের ছবি গুলো ব্যাপক ভাবে ভাসতে থাকে। কিন্তু ছেলেরা এটাকে সম্পূর্ণ আলাদাকরে একদিকে সরিয়ে ফেলতে সক্ষম।
.
কারণ, সে জানে যে এগুলো সবই অতিরঞ্জিত ও অবাস্তব। তারা (সাধারণত) এইসব সুপার মডেলদের সাথে নিজের স্ত্রীকে কখনই তুলনা করে না। সে যেটা চায় সেটা হল- তাঁর স্ত্রী একটু সুন্দর সাজার চেষ্টা করুক, পরিপাটি করে গুছিয়ে থাকার চেষ্টা করুক, পারফিউম ব্যবহার করুক, ভালো পোষাক পড়ুক।
.
একটা বড় সমস্যা হচ্ছে, নারীরা তাঁদের সৌন্দর্যের ব্যাপারে বড় বেশি স্পর্শকাতর হয়। আর এখানেই ইতিবাচক বিষয়টি নিহিত যে, যখন সে সুন্দরী হওয়ার চেষ্টা করে, যখন সে নিজেকে পরিপাটি করে সাজানোর জন্য পাঁচ মিনিট সময়ও ব্যয় করে তখন স্বামী বুঝতে পারে যে- তাঁর (স্বামীর) আকাঙ্ক্ষাকে মূল্যায়ন করে বলেই তাঁর স্ত্রী নিজের সৌন্দর্যের ব্যাপারে যত্নবান থাকে।
.
আমি একটা জরীপের ফলাফল পড়েছি। যেখানে বলা হয়েছে যে- প্রায় ৮৫% স্বামী তাঁর স্ত্রীকে দেখতে মূল বয়সের চাইতে বয়স ১০ বা ২০ বছর কম দেখাচ্ছে কি না তা নিয়ে খুব একটা কেয়ারই করে না। তারা যেটা কেয়ার করে সেটা হচ্ছে, তাঁদের স্ত্রীরা নিজেদের সৌন্দর্যের ব্যাপারে যত্নবান হওয়ার স্বামীর আকাঙ্ক্ষাকে মূল্যায়ন করে।
.
প্রিয় বোনেরা! আপনারা আপনাদের সৌন্দর্যের ব্যাপারে খুবই ক্রিটিক্যাল হলেও আপনাদের স্বামী এ ব্যাপারে আপনার মতো অতো খুঁতখুঁতে নয় ।
আপনাদের তুলনায় তারা এর ধারে কাছেও নেই। অনেক ক্ষেত্রে নিজের সৌন্দর্যের ব্যাপারে একটু ক্রিটিক্যাল থাকা ভালো কিন্তু অধিকাংশ পুরুষদের কাছে তাঁদের স্ত্রীদের সুন্দরী হওয়ার প্রচেষ্টাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটা এমন হওয়া উচিৎ যে, তারা (স্ত্রীরা) এমন ভাবে পোষাক পরবে যেভাবে পরলে তাঁদের সুন্দর দেখায়,এবং তাদেরকে যেভাবে সাজলে সুন্দর দেখায় তারা সেভাবে সাজতে চেষ্টা করবে। আর এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সহজ বিষয় যেটা প্রত্যেক নারীরই বুঝা উচিৎ।
.
চলবে ইনশাআল্লাহ.......
মূল: ড. ইয়াসির ক্বাদি
অনুবাদ: জাবাল আত তারিক
عرض الترجمة
ليست هناك تعليقات:
إرسال تعليق