কুরআনে কেন ভবিষ্যতের ঘটনা বুঝাতে অতীত কালীন ক্রিয়া ব্যবহার করা হয়েছে?
----------------------- * -------------------
কুরআনে আল্লাহ 'সময়কে' যেভাবে বর্ণনা করেন তাতে আমাদের জন্য চমৎকার চমৎকার সব শিক্ষা রয়েছে। আপনি আমি সময় নিয়ে যেভাবে ভাবি আর যেভাবে আল্লাহ সময়কে দেখেন, দুটোই ভিন্ন জিনিস। এমনকি এই কথাটা—
· প্রত্যেককে প্রতিদান দেয়া হবে।
প্রত্যেককে প্রতিদান দেয়া হবে আর প্রত্যেককে প্রতিদান দেয়া হয়েছিল; দুটোই বিচার দিবস উপলক্ষ্যে বলা হয়েছে কুরআনে।
আজব! আল্লাহ বিচার দিবসকে বর্ণনা করছেন যা ভবিষ্যতে হবে… আমি মনে করেছি তিনি এটা নিয়ে কথা বলার সময় প্রত্যেকবার বলবেন, “প্রত্যেককে প্রতিদান দেয়া হবে।” কিন্তু তিনি “প্রত্যেককে প্রতিদান দেয়া হয়েছিল” এটাও ব্যবহার করেছেন।
ভবিষ্যতের ব্যাপারে বলতে গিয়ে এভাবে কি অতীত কাল ব্যবহার করা যায়?
খেয়াল করবেন, কুরআনের মজার বিষয়টি হলো প্রত্যেকবার যখন আয়াতটি মানবজাতি নিয়ে, আল্লাহ বলেন, “প্রত্যেককে প্রতিদান দেয়া হবে।”
প্রত্যেকবার যখন আয়াতটি হয় আল্লাহ সম্পর্কিত, আল্লাহ বলেন, “প্রত্যেককে প্রতিদান দেয়া হয়েছিল”।
কেন?
কারণ, আল্লাহ্র দৃষ্টিতে ‘সময়’ আমার আর আপনার দৃষ্টির ‘সময়ের’ মতো নয়।
মানব চোখে সময় হলো— আমরা ফেলে আসা অতীত দেখতে পারি না। আমরা এখনকার বর্তমান দেখতে পাই। আর আমরা ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করি।
আল্লাহ্র ক্ষেত্রে— যিনি সব দেখেন, সব শুনেন। তাঁর চোখে অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যৎ হলো সব—কানা ওয়া’দাম মাফউলা। এ ওয়াদা পূর্ণ হওয়ারই ছিল। তিনি সবকিছু নিয়ে এমনভাবে বলতে পারেন যেন অতীতে হয়ে গেছে।
আর আল্লাহ্র দৃষ্টি থেকে কেন সময়কে অতীত কালে প্রকাশ করা হবে? কেন? কারণ, ব্যাপারটা হলো নিশ্চিত জ্ঞান। যতকিছুই দুনিয়াতে হচ্ছে, এর নিশ্চিত জ্ঞান সবসময়ই অতীতের বিষয়। আল্লাহর জ্ঞান হলো নিশ্চিত। জ্ঞান যেহেতু নিশ্চিত তাই ভবিষ্যৎকে অতীত কাল দিয়েও বলতে পারেন। তিনি এটাই করেন, সুবহানাহু ওয়া তা’আলা।
- নোমান আলী খান
- ডিভাইন স্পীচ ৬ এর অংশ বিশেষ
عرض الترجمة
ليست هناك تعليقات:
إرسال تعليق