শাইখ আলবানী (রহ) প্রশ্ন করা হয়েছিল একইদিনে সারা বিশ্বে ছিয়াম ও ঈদ পালনের বিধান সম্পর্কে,,,
প্রশ্ন: জ্যোতির্বিদদের পর্যবেক্ষণ ও হিসাব এবং আধুনিক যন্ত্রের ওপর নির্ভর করে কি রামাদান মাস শুরু করা যাবে
জবাব; আমরা এটা জায়েয মনে করি না। কারণ, রাসূলুল্লাহ বলেছেন,
إنا أمة أمية لا تكتب ولا تحسب الشهر هكذا وهكذا يعني مرة تسعة وعشرين ومرة ثلاثين
আমরা নিরক্ষর জাতি, লিখি না এবং হিসাব করি না। আর মাস এমন এমন; অর্থাৎ কখনো ২৯ দিন আবার কখনো ৩০ দিন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ≈ এ হাদীছে ও অন্যান্য হাদীছে বলেছেন,
صوموا لرؤيته، وأفطروا لرؤيته
তোমরা চাঁদ দেখে ছিয়াম রাখা শুরু করো, আর চাঁদ দেখে ছিয়াম ভাঙো।
এখানে নিজ চোখে দেখার আদেশ দিয়েছেন; হিসাব বা যন্ত্রের মাধ্যমে দেখা নয়। আমরা নিরক্ষর জাতি' বলার মাধ্যমে তিনি যেন বোঝাতে চেয়েছেন, এই উম্মত অনন্তর চর্মচক্ষুতেই দেখবে, তারা জ্যোতির্বিদদের হিসাবের সাহায্য নেবে না।
বলা হয়, চর্মচক্ষুতে দেখলে কখনো ভুল হয়। এ ছাড়া তারা আরও কিছু আপত্তির কথা বলে থাকে। প্রথম কথা হচ্ছে, এটাই শরীআত স্বীকৃত পদ্ধতি। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, তারা চর্মচক্ষুতে দেখার ক্ষেত্রে ভুলের যে আপত্তি তুলেছে সেই ভুল জ্যোতির্বিদ্যার দর্শনেও ঘটে থাকে। তৃতীয় ও শেষ কথা হচ্ছে, আমাদের এই শরীআত সর্বজনীন, সকল যুগ ও স্থানের জন্য উপযোগী।
তিনি এমন একটি আলামত দিয়েছেন যার মাধ্যমে প্রত্যেক চক্ষুষ্মান ব্যক্তি নতুন চাঁদের উদয় ও শেষ হওয়া জানতে পারবে। কিন্তু যদি জ্যোতির্বিদদের হিসাবের বিধান দেওয়া হতো তাহলে। শরয়ী মাস নির্ধারণ নির্দিষ্ট একটি দলের সাথে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ত। অথচ শরয়ী নির্ধারণ সকল মানুষের জন্য প্রযোজ্য। এমনটা করলে যে দলিল ব্যাপকভাবে এসেছে সে দলিল পরিবর্তন হয়ে একটি নির্দিষ্ট দলের সাথে খাস হয়ে যাবে, আর সাধারণ মানুষ তা থেকে বাদ পড়ে যাবে। এটা আপনাদের রবের পক্ষ থেকে সহজীকরণ এবং রহমত। তাই এখানেই থেমে যাওয়া ওয়াজিব।
১৭. তুরাসুল আলবানী ফিল ফিকহ, ১০/১১৬-১১৭ ৬৭৮, বুখারী হা/১৯১৩ ৬৭১, বুখারী হা/১৯০৯
বইঃ ফাতাওয়ায়ে আলবানী।
সংকলন ও অনুবাদঃ আব্দুল্লাহ মাহমুদ।
অনুবাদ-সম্পাদনাঃ শাইখ ড. আব্দুল্লাহ ফারুক সালাফী। ও শাইখ ড. মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ খান মাদানী।
প্রশ্ন নং ৩৩৯।
عرض الترجمة
ليست هناك تعليقات:
إرسال تعليق