الاثنين، 4 يناير 2021

❦ যে-মেয়েটির প্রথম মাসিক হয়েছিল লড়াইয়ের পথে

 

❦ যে-মেয়েটির প্রথম মাসিক হয়েছিল লড়াইয়ের পথে
আনসারিদের কয়েকজন নারী খাইবার লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁরা মূলত চোটগ্রস্ত বা অসুস্থদের সেবা করার জন্য সাথে গিয়েছিলেন। তাঁদের সাথে ছিল এক ৭ কি ৮ বছরের বালিকা। তার কোনো সওয়ারি ছিল না। নবিজি বললেন তাঁর সঙ্গে আসতে। সে তখন নবিজির সওয়ারির পেছনে ঝোলানো বাক্সপেটরার ওপর বসল।
এই বালিকার নাম আমরা জানি না। শুধু জানি সে এই যাত্রার ঘটনা বলেছে নিজে। সে বলেছে, ‘উট থামল। নবিজি আমাকে নামতে বললেন। আমি দেখলাম রক্ত! আমার প্রথম মাসিক। খুব ভয় হলো। মালপত্তরের ওপরই কাঠ হয়ে বসে রইলাম।’
সে আসলে বুঝতে পারছিল না কী করবে। বিব্রত। লজ্জিত। এমন জায়গাতেই এমন কিছু হতে হলো? তা-ও আবার কার সামনে!
নবি সা. আবার বললেন, ‘নেমে পড়ো।’
কিন্তু সে নড়ে না। রক্তের দাগ চোখে পড়ল নবিজির। তিনি বললেন, ‘তোমার কি মাসিক হচ্ছে?’
সে ওপরে নিচে মাথা নাড়ল।
‘আচ্ছা। সমস্যা নেই। পরিষ্কার হয়ে নাও। আর রক্তটা পানি আর লবণ দিয়ে ধুয়েমুছে আগের জায়গায় বসে যাও।’
সুবহান আল্লাহ। কী চমৎকারভাবে নবি সা. মেয়েটির বিব্রতকর পরিস্থিতি সামাল দিলেন। রাগ করলেন না। বিরক্ত হলেন না। কিচ্ছু না।
মেয়েটি পরে জানিয়েছে, নবি সা. তাঁকে একটা হার উপহার দিয়েছিলেন। হারটা দেখিয়ে সে বলেছিল, ‘যতদিন বেঁচে আছি সব সময় এটা সাথে রাখব। মরলেও এটা আমার কবরে নিয়ে যাবো।’
মাত্র ৮ বছরের মেয়ে যখন সে খাইবারের দিকে রওনা হয়েছিল। নবিজির পিছে বসে গেল। কোনো সমস্যাই হইনি। আর অমন বিব্রত এক অবস্থা কী সুন্দর করেই না সামাল দিলেন নবিজি।
[নবীজীবন, ড. ইয়াসির কাদি]
অনুবাদঃ মাসুদ শরীফ

ليست هناك تعليقات:

إرسال تعليق